Females Candidates Job Interview Problem & Prospect
বিষয়- ইন্টার্ভিউতে ফিম্যাল ক্যান্ডিডেটদের হ্যারেজম্যান্ট!
বিস্তারিত-
গতকাল রাতের কাহিনী দিয়েই শুরু করি, অনেক পুরাতন এক মেয়ে বন্ধু ফোন দিল। হ্যালো আমি “ক” (ছদ্মনাম)। ভাল আছ? হুম তোমার কি খবর? ভাল না! কেন? কোথায় জেনো জব করতা
বলছিলা! হুম ওটা ছেড়ে দিছি। কেন? বস “ ডট ডট”! তাই!!! না পারতে ছাড়তে হলো।
এবার আসি ২০ দিন আগের ঘটনাতে, এবার নতুন এক জন ফেসবুক বন্ধু এই গ্রুপ থেকে পরিচয়। তুমি কোথায় আছ? এই তো এইখানে জব করি। আগে কোথাও জব করতে। হুম। ছাড়লা কেন? বস “ডট ডট”! তাই!!!
আরও পিছনের দিকে যাই, ১ বছর আগের কথা, তাও এই গ্রুপ থেকে পরিচয় মেয়ে বন্ধু। বন্ধু বলছি কারন ফেসবুক এ সবাই বন্ধুই। তাই! ভাইয়া, আমার জব দরকার,পারলে হ্যাল্প করেন। আমার সাবজেক্ট “এইচ আর”। ভাল কথা। আগে কোথাও জব করা হয়েছিল? হুম! ছাড়লা কেন? বস ডট ডট!!! তাই! ৫০,০০০/- সেলারি অফার করে!
মাঝে একজন ফোন দিল, আমি একটা কথা জানতে চাই। বললাম হুম বল, কেই একজন আমাকে অফার দিল যে, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জবের। তোমাকে ??? :O
হুম। অথচ সে মাত্র অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ে। সেলারি কত? ফিফটি! আমি- সরি? ফিফটিন নাকি ফিফটি!???! ফিফটি মানে ৫০,০০০/- ভাই, তুমি ফাঁদে পরতে যাচ্ছ। দেন আমার কারনে সেদিন বেঁচে গেল।
আজ থেকে ৫-৬ মাস আগে একজন কথা প্রসঙ্গে বলে ফেললো, আমি যে ব্যাংক ইন্টার্ন করেছিলাম, সেটা ছিল আমার হোম ডিসট্রিক্ট এ। এবং সেখানকার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার জব দিবে বলে আমাকে “ডট ডট” বলেছিল। শুধু ইন্টার্নশিপ চলছিল দেখে তখন কিছু বলি নাই।
যেহেতু জব গ্রুপের এডমিন সেজন্যে বক্তিগত অনেক অজানা কথা আমার কানের পাশে চলে আসে ঘুরে ফিরে!
তাই, আমার কাছে মনে হলো, যেহেতু আমার লেখাগুলোকে অনেকে খুবই গুরুত্বের সাথে নিচ্ছেন আমার উচিৎ সেই বিষয়ে কিছু একটা লেখা যাতে করে ভবিষ্যৎ এ বিপদে সম্মুখীন না হয় আর কেউ।
কেন এমন হচ্ছে আমি সেই ব্যাখ্যা দিতে যাব না এখানে। আমি শুধু কিছু পরামর্শ দিতে চাই, যদি আপনারা (ফিম্যালদের) বলছি, এইগুলা ফেস করে থাকেন। তাহলে খুবই ঠান্ডা মাথায় সিটিউশন হ্যান্ডেল করবেন। কিভাবে কি করবেন নিচে পয়েন্ট আকার দিচ্ছি। আশা করি আমার কথা ধরতে পারবেন-
১। যদি আপনাকে ইন্টার্ভিউতে বলা হয় যে, আপনি কেমন ড্রেশ পড়া লাইক করেন। তাহলে ৯৯% শিউর ধরতে পারেন যে, ওই বস/অফিসের আভ্যন্তরীণ সমস্যা আছে এবং যদিও শুরুতে আপনি তাদের কথার মানে মানে বুঝতে পারবেন না। তারা আপনাকে এক সেকেন্ডের মধ্যে স্ক্যান করে নিয়েছিল। মাত্র ১-৩/৪ মাসের মধ্যে ১০০% বাজে অবস্থায় পরবেন আপনি। তাই, এমন শব্দ যারা উচ্চারণ করে ইন্টার্ভিউ বোর্ডে, তখন জেনে নিবেন কোন ড্রেস কোড আছে কিনা অফিসে/কোঃ তে। যদি না বলে। তাহলে বুঝে নিবেন। তাদের দৃষ্টি ভাল ছিলনা।
২। যদি “পদের” তোলনায় আপনাকে বেশি সেলারী অফার করে তাহলে বুঝে নিবেন মালিকের চরিত্রে সমস্যা আছে।
৩। যদি কথার ফাঁকে আপনাকে বলে যে,আপনার জবের কি দরকার? তাহলে বুঝে নিবেন এই কথার মানে অনেক বাজে ভাবে সে নিয়েছে আপনাকে!
৪। চলেন একদিন কফি খাই কোন এক রিসোর্ট এ। এর মানে সে আপনাকে বাজে অফার করেছে।
৫। যদি আপনাকে নিজ উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়াতে চায় তাহলে ধরেই নিবেন সে একদিন তার সুধাসল ঠিকই আদায় করে নিবে!
৬। আপনার সাথে এটা কে? আপনার বান্ধবই? ওনি জব করতে আগ্রহী ? এটার মানে হচ্ছে সে খুবই বাজে ভাবে নিয়েছে আপনাকে।
ছোট করে ৬টা পয়েন্ট তোলে ধরলাম। এইগুলাই মেইন পয়েন্ট।
যখন ইন্টার্ভিউ বোর্ডে এমন শব্দ কানে আসবে।
তাহলে কি করবেন তা জেনে নেই চলেন-
১। এমন সিটিউশনে যে সকল মেয়েরা খুবই সৎ তারা রেগে গিয়ে কিছু বকে আসে। আসলে এমন পরিবেশে কি করবেন শুনেন, ঠাণ্ডা মাথায় বলবেন, সরি স্যার আমার দারা সম্ভব্য না। এটা বলে ৫ সেকেন্ডও দেড়ি করবেন না। যদি আরও ১ মিনিটও অপেক্ষা করেন এবং কথা ইনিয়ে বিনিয়ে বলেন/ মুচকি হাসি দেন। তাহলে আপনার কপাল পুরবে। তারা ধরে নিবে আপনি তাদের প্রস্তাবে রাজি আছেন। এবং আপনি বাসায় যাবার পরে নিয়মিত ফোন দিতে থাকবে। তাই, অতি সাবধানে সরি বলে চলে আসেন। যাতে পাশের রোমের কেউ
টের না পায়।
২। সব সময় ছেলে বন্ধু নিয়ে ইন্টার্ভিউ ফেস করতে যাবেন।
৩। যদি একা কোথাও ইন্টার্ভিউ দিতে জান তাহলে, বাসায় জানিয়ে যাবেন এবং একটা ক্লোজ ছেলে বন্ধুকে টেক্স করে ঠিকানা জানিয়ে যাবেন।
৪। ইন্টার্ভিউ এর জন্য ফোন দিলেই যে এটেন্ড করতে হবে, বিষয়টা এমন না। ফোন আসলে কোঃ প্রোফাইল ইন্টারনেট এ দেখে নিবেন ওয়েব সাইটে। যদি দেখেনে যে কোঃ এর বয়স ৪-৫ বছর এর উপরে তাহলে মোটামোটি ভাল ধরে নিতে পারেন কোঃ। এবং সেখানে সিকিউরিটি মোটামোটি ভালই হবার নিয়ম।
৫। যদি ঠিকানা/এলাকা না চিনেন তাহলে রিস্ক নিয়ে ইন্টার্ভিউতে না যাওয়াই ভাল।
৬। সাধারণত ‘ডি ও এইচ এস” এরিয়ার অফিসগুলোর ভিত্তি অনেকটা ভাল থাকে।
তাই এই সকল ম্যানেজম্যান্টও ভাল থাকে!
৭। স্যার আমার জবটা খুবই দরকার, এই বাক্য কখনও উচ্চারণ করবেন না। তাহলে তারা আপনাকে নিয়ে অন্য কিছু ভাবা শুরু করবে। আপনি বরং চেষ্টা করবেন এবং অনুসরণ করে একটার পরে একটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যেতে চেষ্টা করবেন। যদি দেখেন যে আপনার সবই ঠিক ছিল কিন্তু তারা আগ্রহ দেখাচ্ছেনা। তাহলে বাদ দেন। সেটা নিয়ে তেল মারার দরকার নেই। কারনে তেল মারা জবের মাসুল ভবিষ্যতে দিতে হবে।
৮। অফিসের কোন সিনিয়র বস থেকে টাকা ধার নিবেন না! এটার পরে কাল হয়ে দাঁড়াবে।
৯। আমি ব্যাচেলর থাকি, এই বাক্যটি উচ্চারণ করবেন না। মেয়েদের জন্য বললাম। এটার মানে অনেক নেগেটিভ হতে পারে! কারন তারা ধরে নিতে পারে ব্যাচেলর মেয়ে মানুষ আমি আমার ইচ্ছা মত প্রভাব ফেলতে পারব। এই ক্ষেত্রে বলবেন, রিলেটিভ এর সাথে থাকি। কাছের কোন রিলেটিভের কথা বলবেন।
১০। মাল্টিন্যাশনাল কোঃ গুলো মেল/ছেলে বসগুলো সাধারণত বিদেশীই হয়ে থাকে, এই ক্ষেত্রে অফিসের মেয়েরা বেশি পরিমাণে হ্যারেজমেন্ট হয়ে থাকে। তাই অনেকে চায় না মাল্টিন্যাশনাল কোঃ গুলোতে জব করতে। তাই মাল্টিন্যাশনাল কোঃ তে জয়েন এর পর পর জেনে নিবেন আপনার আপার লেভেলের বসে এর প্রিভিয়াস ইতিহাস। বাকিটা আপনি বুঝে নেন কি বুঝাতে চাইলাম...।।
যাইহোক, এইগুলো হচ্ছে প্রাথমিক কিছু পরামর্শ, বাকি হ্যারেজম্যান্টগুলো আপনার তিক্ষন জ্ঞান দিয়ে সামাল দিতে হবে। কারন, সব জায়গায়ই খারাপ ভাল থাকে। কারও সাথে ভালভাবে না মিশে তার চারিত্রিক সনদ দেয়া ঠিক নয়। তাই, ১টা ঘটনা ১ বার ঘটলে সেটার সাথে সাথে প্রতিবাদ না করে; অপেক্ষা করে দেখেন যে সে লজ্জিত কিনা। যদি না হয়, তাহলে ধরে নিবেন। একই ঘটনা আবার আপনার সাথে ঘটতে পারে।
আশা করি, আমার কথা অনেকে বুঝতে পেরেছেন। শুভ এবং নিরাপদ হোক আপনার জব লাইফ এই দোয়া রইল।
শুভ রাত্রি।
লেখক- আবু জাফর
প্রতিষ্ঠাতা সিও, ভ্যাক্যান্সি এনাউন্সম্যান্ট ইন বিডি
তারিখ- ২৮-১১-২০১৭
বিস্তারিত-
গতকাল রাতের কাহিনী দিয়েই শুরু করি, অনেক পুরাতন এক মেয়ে বন্ধু ফোন দিল। হ্যালো আমি “ক” (ছদ্মনাম)। ভাল আছ? হুম তোমার কি খবর? ভাল না! কেন? কোথায় জেনো জব করতা
বলছিলা! হুম ওটা ছেড়ে দিছি। কেন? বস “ ডট ডট”! তাই!!! না পারতে ছাড়তে হলো।
এবার আসি ২০ দিন আগের ঘটনাতে, এবার নতুন এক জন ফেসবুক বন্ধু এই গ্রুপ থেকে পরিচয়। তুমি কোথায় আছ? এই তো এইখানে জব করি। আগে কোথাও জব করতে। হুম। ছাড়লা কেন? বস “ডট ডট”! তাই!!!
আরও পিছনের দিকে যাই, ১ বছর আগের কথা, তাও এই গ্রুপ থেকে পরিচয় মেয়ে বন্ধু। বন্ধু বলছি কারন ফেসবুক এ সবাই বন্ধুই। তাই! ভাইয়া, আমার জব দরকার,পারলে হ্যাল্প করেন। আমার সাবজেক্ট “এইচ আর”। ভাল কথা। আগে কোথাও জব করা হয়েছিল? হুম! ছাড়লা কেন? বস ডট ডট!!! তাই! ৫০,০০০/- সেলারি অফার করে!
মাঝে একজন ফোন দিল, আমি একটা কথা জানতে চাই। বললাম হুম বল, কেই একজন আমাকে অফার দিল যে, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে জবের। তোমাকে ??? :O
হুম। অথচ সে মাত্র অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ে। সেলারি কত? ফিফটি! আমি- সরি? ফিফটিন নাকি ফিফটি!???! ফিফটি মানে ৫০,০০০/- ভাই, তুমি ফাঁদে পরতে যাচ্ছ। দেন আমার কারনে সেদিন বেঁচে গেল।
আজ থেকে ৫-৬ মাস আগে একজন কথা প্রসঙ্গে বলে ফেললো, আমি যে ব্যাংক ইন্টার্ন করেছিলাম, সেটা ছিল আমার হোম ডিসট্রিক্ট এ। এবং সেখানকার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার জব দিবে বলে আমাকে “ডট ডট” বলেছিল। শুধু ইন্টার্নশিপ চলছিল দেখে তখন কিছু বলি নাই।
যেহেতু জব গ্রুপের এডমিন সেজন্যে বক্তিগত অনেক অজানা কথা আমার কানের পাশে চলে আসে ঘুরে ফিরে!
তাই, আমার কাছে মনে হলো, যেহেতু আমার লেখাগুলোকে অনেকে খুবই গুরুত্বের সাথে নিচ্ছেন আমার উচিৎ সেই বিষয়ে কিছু একটা লেখা যাতে করে ভবিষ্যৎ এ বিপদে সম্মুখীন না হয় আর কেউ।
কেন এমন হচ্ছে আমি সেই ব্যাখ্যা দিতে যাব না এখানে। আমি শুধু কিছু পরামর্শ দিতে চাই, যদি আপনারা (ফিম্যালদের) বলছি, এইগুলা ফেস করে থাকেন। তাহলে খুবই ঠান্ডা মাথায় সিটিউশন হ্যান্ডেল করবেন। কিভাবে কি করবেন নিচে পয়েন্ট আকার দিচ্ছি। আশা করি আমার কথা ধরতে পারবেন-
১। যদি আপনাকে ইন্টার্ভিউতে বলা হয় যে, আপনি কেমন ড্রেশ পড়া লাইক করেন। তাহলে ৯৯% শিউর ধরতে পারেন যে, ওই বস/অফিসের আভ্যন্তরীণ সমস্যা আছে এবং যদিও শুরুতে আপনি তাদের কথার মানে মানে বুঝতে পারবেন না। তারা আপনাকে এক সেকেন্ডের মধ্যে স্ক্যান করে নিয়েছিল। মাত্র ১-৩/৪ মাসের মধ্যে ১০০% বাজে অবস্থায় পরবেন আপনি। তাই, এমন শব্দ যারা উচ্চারণ করে ইন্টার্ভিউ বোর্ডে, তখন জেনে নিবেন কোন ড্রেস কোড আছে কিনা অফিসে/কোঃ তে। যদি না বলে। তাহলে বুঝে নিবেন। তাদের দৃষ্টি ভাল ছিলনা।
২। যদি “পদের” তোলনায় আপনাকে বেশি সেলারী অফার করে তাহলে বুঝে নিবেন মালিকের চরিত্রে সমস্যা আছে।
৩। যদি কথার ফাঁকে আপনাকে বলে যে,আপনার জবের কি দরকার? তাহলে বুঝে নিবেন এই কথার মানে অনেক বাজে ভাবে সে নিয়েছে আপনাকে!
৪। চলেন একদিন কফি খাই কোন এক রিসোর্ট এ। এর মানে সে আপনাকে বাজে অফার করেছে।
৫। যদি আপনাকে নিজ উদ্যোগে সাহায্যের হাত বাড়াতে চায় তাহলে ধরেই নিবেন সে একদিন তার সুধাসল ঠিকই আদায় করে নিবে!
৬। আপনার সাথে এটা কে? আপনার বান্ধবই? ওনি জব করতে আগ্রহী ? এটার মানে হচ্ছে সে খুবই বাজে ভাবে নিয়েছে আপনাকে।
ছোট করে ৬টা পয়েন্ট তোলে ধরলাম। এইগুলাই মেইন পয়েন্ট।
যখন ইন্টার্ভিউ বোর্ডে এমন শব্দ কানে আসবে।
তাহলে কি করবেন তা জেনে নেই চলেন-
১। এমন সিটিউশনে যে সকল মেয়েরা খুবই সৎ তারা রেগে গিয়ে কিছু বকে আসে। আসলে এমন পরিবেশে কি করবেন শুনেন, ঠাণ্ডা মাথায় বলবেন, সরি স্যার আমার দারা সম্ভব্য না। এটা বলে ৫ সেকেন্ডও দেড়ি করবেন না। যদি আরও ১ মিনিটও অপেক্ষা করেন এবং কথা ইনিয়ে বিনিয়ে বলেন/ মুচকি হাসি দেন। তাহলে আপনার কপাল পুরবে। তারা ধরে নিবে আপনি তাদের প্রস্তাবে রাজি আছেন। এবং আপনি বাসায় যাবার পরে নিয়মিত ফোন দিতে থাকবে। তাই, অতি সাবধানে সরি বলে চলে আসেন। যাতে পাশের রোমের কেউ
টের না পায়।
২। সব সময় ছেলে বন্ধু নিয়ে ইন্টার্ভিউ ফেস করতে যাবেন।
৩। যদি একা কোথাও ইন্টার্ভিউ দিতে জান তাহলে, বাসায় জানিয়ে যাবেন এবং একটা ক্লোজ ছেলে বন্ধুকে টেক্স করে ঠিকানা জানিয়ে যাবেন।
৪। ইন্টার্ভিউ এর জন্য ফোন দিলেই যে এটেন্ড করতে হবে, বিষয়টা এমন না। ফোন আসলে কোঃ প্রোফাইল ইন্টারনেট এ দেখে নিবেন ওয়েব সাইটে। যদি দেখেনে যে কোঃ এর বয়স ৪-৫ বছর এর উপরে তাহলে মোটামোটি ভাল ধরে নিতে পারেন কোঃ। এবং সেখানে সিকিউরিটি মোটামোটি ভালই হবার নিয়ম।
৫। যদি ঠিকানা/এলাকা না চিনেন তাহলে রিস্ক নিয়ে ইন্টার্ভিউতে না যাওয়াই ভাল।
৬। সাধারণত ‘ডি ও এইচ এস” এরিয়ার অফিসগুলোর ভিত্তি অনেকটা ভাল থাকে।
তাই এই সকল ম্যানেজম্যান্টও ভাল থাকে!
৭। স্যার আমার জবটা খুবই দরকার, এই বাক্য কখনও উচ্চারণ করবেন না। তাহলে তারা আপনাকে নিয়ে অন্য কিছু ভাবা শুরু করবে। আপনি বরং চেষ্টা করবেন এবং অনুসরণ করে একটার পরে একটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যেতে চেষ্টা করবেন। যদি দেখেন যে আপনার সবই ঠিক ছিল কিন্তু তারা আগ্রহ দেখাচ্ছেনা। তাহলে বাদ দেন। সেটা নিয়ে তেল মারার দরকার নেই। কারনে তেল মারা জবের মাসুল ভবিষ্যতে দিতে হবে।
৮। অফিসের কোন সিনিয়র বস থেকে টাকা ধার নিবেন না! এটার পরে কাল হয়ে দাঁড়াবে।
৯। আমি ব্যাচেলর থাকি, এই বাক্যটি উচ্চারণ করবেন না। মেয়েদের জন্য বললাম। এটার মানে অনেক নেগেটিভ হতে পারে! কারন তারা ধরে নিতে পারে ব্যাচেলর মেয়ে মানুষ আমি আমার ইচ্ছা মত প্রভাব ফেলতে পারব। এই ক্ষেত্রে বলবেন, রিলেটিভ এর সাথে থাকি। কাছের কোন রিলেটিভের কথা বলবেন।
১০। মাল্টিন্যাশনাল কোঃ গুলো মেল/ছেলে বসগুলো সাধারণত বিদেশীই হয়ে থাকে, এই ক্ষেত্রে অফিসের মেয়েরা বেশি পরিমাণে হ্যারেজমেন্ট হয়ে থাকে। তাই অনেকে চায় না মাল্টিন্যাশনাল কোঃ গুলোতে জব করতে। তাই মাল্টিন্যাশনাল কোঃ তে জয়েন এর পর পর জেনে নিবেন আপনার আপার লেভেলের বসে এর প্রিভিয়াস ইতিহাস। বাকিটা আপনি বুঝে নেন কি বুঝাতে চাইলাম...।।
যাইহোক, এইগুলো হচ্ছে প্রাথমিক কিছু পরামর্শ, বাকি হ্যারেজম্যান্টগুলো আপনার তিক্ষন জ্ঞান দিয়ে সামাল দিতে হবে। কারন, সব জায়গায়ই খারাপ ভাল থাকে। কারও সাথে ভালভাবে না মিশে তার চারিত্রিক সনদ দেয়া ঠিক নয়। তাই, ১টা ঘটনা ১ বার ঘটলে সেটার সাথে সাথে প্রতিবাদ না করে; অপেক্ষা করে দেখেন যে সে লজ্জিত কিনা। যদি না হয়, তাহলে ধরে নিবেন। একই ঘটনা আবার আপনার সাথে ঘটতে পারে।
আশা করি, আমার কথা অনেকে বুঝতে পেরেছেন। শুভ এবং নিরাপদ হোক আপনার জব লাইফ এই দোয়া রইল।
শুভ রাত্রি।
লেখক- আবু জাফর
প্রতিষ্ঠাতা সিও, ভ্যাক্যান্সি এনাউন্সম্যান্ট ইন বিডি
তারিখ- ২৮-১১-২০১৭
Comments
Post a Comment